মেধাবিকাশ কম্পিউটার গেমে

সন্তান যদি কম্পিউটার গেমের ভক্ত হয়, আপনার উচিত তা ভালো চোখে দেখা। গেমের যত কলাকৌশল, তা স্কুলের পরীক্ষার ফলাফলে নম্বর বাড়াতে সাহায্য করে। ফেসবুকে আসক্তির ফলাফল কিন্তু ভিন্ন—ধনাত্মকের চেয়ে সেখানে ফলটা ঋণাত্মকই বেশি।


অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলবার্টো পোসোর এক গবেষণার দেখা গেছে, যে তরুণেরা নিয়মিত অনলাইনে ভিডিও গেম খেলে তাদের পরীক্ষার ফল ভালো হয়। তবে যে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত, তারা সাধারণত গণিত ও বিজ্ঞানে কম নম্বর পায়। প্রতিবেদনে পোসো লিখেছেন, ‘যে শিক্ষার্থীরা কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেনি, তাদের তুলনায় যারা নিয়মিত ব্যবহার করে, তারা গণিতে গড়ে ২০ নম্বর কম পেয়ে থাকে।’

১৫ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া ১২ হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের গণিত ও বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর এবং কোনো কিছু পাঠ করার দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান তিনি। তবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ২০১২ সালে। বর্তমানের সঙ্গে কিছুটা হেরফের থাকতে পারে বলেও মত দিয়েছেন আলবার্টো পোসো।

ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার স্কুল অব এডুকেশনের উপপ্রধান নিকোলা জনসনের মতে, অনেক গেম আছে যেগুলো কৌশল খাটিয়ে খেলতে হয়, সমস্যার সমাধান করতে হয়, লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা পূর্ণ করে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হয় নিজেকে। এ ধরনের মানসিকতা নিশ্চয় কোনো কিছু অর্জন এবং শেখায় সাহায্য করবে।

ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি গবেষক জোয়ানা অরল্যান্ডো গেমের মানও বিবেচনায় আনতে বলেন। তিনি বলেন, আপনাকে শুধু খেলার দক্ষতা দেখলেই চলবে না, বরং গেমের সার্বিক বিষয়বস্তুও মাথায় রাখতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে এমন ঢালাও সিদ্ধান্তের পরিপন্থী নিকোলা জনসন। তাঁর মতে, অনেক ভালো শিক্ষার্থী আছে যারা নিয়মিত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। জোয়ানা অরল্যান্ডো বরং সামাজিক মাধ্যমকেই সম্ভাব্য শেখার জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে।

Comments